বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারের মাফিয়া দুঃশাসনের যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, সেটিকে আড়াল করতেই রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “সরকারের প্ররোচনায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব কেড়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি শেখ হাসিনার আদেশেই করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। খুব দ্রুতই এই সরকারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মিথ্যা বলা ও কলঙ্ক রটনাই আওয়ামী লীগের জীবিকা উপার্জনের একমাত্র উপায়। কারণ এরা জনগণ দ্বারা পরিত্যাজ্য।’
জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়া হলে বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তি রাজপথে সুনামির ন্যায় ধেয়ে এসে প্রতিরোধ গড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দেন দলটির মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের অবিনাশী কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।’
রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কীর্তি দেশবাসীর অন্তরে আজও অম্লান। জিয়াকে নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আবেগ তা যুগে যুগে মানুষের হৃদয়ে বহমান থাকবে। সূর্যের আলোকে আটকানো যায় না…।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন নিশিরাতের অটো-সরকারের চারদিকে ক্রমশ অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে। বিশ্বের কাছে এদের পরিচিতি এখন মাফিয়া সরকার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে একের পর এক এই সরকারের ভোট ডাকাতি, অপকর্ম, লুটপাট, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের ফিরিস্তি উঠে আসছে।’
রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববাসী জেনে গেছে যে, বাংলাদেশে এখন বিনা ভোটের যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা মাফিয়া। বাচাল মন্ত্রীরা ও তাদের দালালরা সপ্তস্বরে সরকারের পক্ষে প্রমাণহীন মিথ্যা সাফাই গাইলেও সত্যকে ঢাকতে পারছে না।’