কিশোরগঞ্জে গৃহবধূ রুবা হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই পরিবারের লুৎতু ওরফে রুকন (৩০), রুকনের চাচাতো ভাই শরীফ (২২), শরীফের বাবা সোহরাব (৪৫), সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না (৪০), মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার (৩৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া-মোগলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুসের ছেলে শামীমের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে রুবার। বিয়ের পর থেকেই শামীমের পরিবারের সঙ্গে রুবার বনিবনা হচ্ছিলো না। বিয়ের ১৫ দিন পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে রুবাকে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে রাখেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে ওই রাতেই তার (রুবার) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ওই বছরের ৪ জুন রুবার স্বামী শামীমসহ ৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান ৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার সকালে এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।