বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সুইস ব্যাংকে জব্দকৃত টাকা ফেরত আনা বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
রোববার এ সংক্রান্ত আনা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, যাদের টাকা সুইস ব্যাংকে রয়েছে তাদের তালিকা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি পানামা পেপারস ও পেরাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না- রুলে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে হবে। এ সংক্রান্ত পৃথক রুলের শুনানি একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ মার্চ বিষয়টি শুনানির জন্য ধার্য রাখা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ সংক্রান্ত রিট করেন। রিটে দেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এছাড়াও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত ইতিপূর্বে স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন যে, পাচারকারীদের যে তালিকা সংশ্লিষ্টদের কাছে রয়েছে তা তদন্ত কাজে ব্যবহার করা যায়। তালিকা প্রকাশ করা যাবে না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, আদালত দ্বৈত নাগরিকদের তালিকা চেযেছিল। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছেন, প্রায় ১৪ হাজার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, যারা পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন।