ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে মাদক মামলা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তিনি ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান এ রায় দেন।
এর আগে ৫ জানুয়ারি ইরফানকে অব্যাহতির সুপারিশ করে মাদক ও অস্ত্র মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পরিদর্শক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
পুলিশ ইরফানের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় আদালত এ মামলায় আর তদন্ত করার আদেশ দেননি।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে নেমে ইরফান সেলিম ও তার সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালও করা হয়।
এরপর ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ।