চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার রৌফাবাদ এলাকায় পারভিন আক্তার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় ৪ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া এই আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী।
দণ্ডিতরা হলেন- ফটিকছড়ি উপজেলার ১৯ নম্বর সমিতির হাট ইউনিয়নের সাদেক নগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৭), হাটহাজারী উপজেলার পূর্ব মেখল এলাকার মো. মুসার ছেলে মনসুর (২৫), মো. ইউসুফের ছেলে তৈয়ব প্রকাশ রানা (২৪) এবং একই উপজেলার সৈয়দুর রহমানের বাড়ি আহমদ ছফার ছেলে মো. ইসহাক।
মো. ইয়াছিন ছাড়া বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এদের মধ্যে ইয়াছিন সম্পর্কে নিহত পারভীন আক্তারের স্বামী নুরুল আলমের চাচাতো বোনের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, পারভিন আক্তার হত্যা মামলায় আদালত চার আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ধারায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড হলেও দস্যুতার ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান ও জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৬ সালের ৫ মার্চ রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার জয়নব ভিলার তৃতীয় তলায় খুন হন প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী পারভীন আক্তার। ঘটনার তিনদিন পর ৭ মার্চ নুরুল আলম দেশে ফিরে অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এই ঘটনায় নিহত পারভীনের ভাসুর আব্দুর শুক্করের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিলো। এরপর একই বছরের ১৫ মার্চ রাতে টেকনাফ থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ মো. ইয়াছিন ও মো. মনসুর নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার ও ওই বাসা থেকে লুট করা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
ইয়াছিন ও মনসুরও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার দুজনই টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে তখন জানিয়েছিলেন।
নিহতের ভাসুর শুক্কুরের সঙ্গে শত্রুতার কারণে তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য টাকা যোগাড় করতে লুটের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা ওই বাড়িতে গিয়েছিল বলেও জানান।
এরপর ২০১৬ সালর ৯ এপ্রিল হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়ন থেকে মো. আবু তৈয়ব ওরফে রানা (২৫) নামের আরেকজনকে পারভীন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।