৭ই মার্চ ২০২১ইং (রবিবার) সকালে মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম রাজধানী কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপনের সূচনা করেন।
স্থানীয় সময় সন্ধা ৬টায় দুতাবাসের ১ম সচিব ও দুতালয় প্রধান জনাব ইসমাঈল হোসেন এর সঞ্চালনায় জুম ওয়েবিনারে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর ঢাকা থেকে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করেন মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শোনান দুতাবাসের তৃতীয় সচিব জনাব আতাউল হক। অনলাইন জুম মিটিংয়ে রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের পর আইসিটি বিভাগ হতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রচার করা হয়। পরে বাংলাদেশ থেকে আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জনাব গোলাম মাওলা, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ডঃ ওয়াহিদুর রহমান ও ডাক্তার সাফায়েত উল্লাহ।
এছারাও ঢাকাস্ত মিশর দুতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব মাহমুদ ইজ্জত, সৌদি আরবে বাংলাদেশ রিপোর্টারস ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক এম ওয়াই আলাউদ্দিন ও যুক্তরাজ্য থেকে যোগ দেন দি গার্ডিয়ান ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি মুঃ ওয়াসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।
এসময় মিশরের রাজধানী কায়রো ও অন্যান্য শহর থেকে ওয়েবিনার জুম মিটিংয়ে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং জাতিসংঘে (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) কর্মরত মিশর প্রবাসী নাফিজ আহমেদ খান, কায়রো আমেরিকান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জনাব শাহজাহান ভুঁইয়া, ডাঃ আরিফুল হক, ইসা আহমেদ সহ পেশাজীবী প্রবাসীরা।
সর্বশেষে রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ই মার্চের ভাষণের পরই সমগ্র দেশ জুড়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে এবং ২৫ মার্চের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের পর স্বাধীনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। যার পথ-পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সকলকে দেশে-বিদেশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে এবং আগামীর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ব্রতি হওয়ার আহ্বান জানান।