চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রবাসী নেছার আহমেদ ওরফে তোতা মিয়াকে হত্যা মামলায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. নাসির উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন শাহীন, বাবুল, ল্যাডা নাছির, নুরুল ইসলাম, মো. জোবায়ের, দিদার, আবুবক্কর বাঁশি, ইসমাইল ও মো. জংগু। তাদের মধ্যে শাহীন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার ফটিকছড়ি থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নেছার আহমেদ একই গ্রামের জনৈক এজাহার মিয়ার কাছে পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। অনেকবার চাওয়ার পরও তিনি টাকা ফেরত পাননি। তার সঙ্গে এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছির ও তার সহযোগীদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ল্যাডা নাছির কৌশলে সেই টাকা উদ্ধারের কথা বলে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে এজাহারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে নেছারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকালে দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নেছার আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে আটজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলেও তদন্ত শেষে ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচার চলাকালে নাছির নামক একজন মারা গেলে বাকি নয় আসামির বিরুদ্ধে আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।