muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

হাজী সেলিমের ১০ বছর সাজা বহাল

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের করা আপিলে ১০ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার এই আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন নামা বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। হাজি সেলিমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

গত বছরের ১১ নভেম্বর হাজি সেলিমের মামলার যাবতীয় নথি তলব করে  হাইকোর্ট। এর আগে আপিল বিভাগের আদেশে হাইকোর্টে পুনঃ শুনানির জন্য পাঠানো মামলাটি ফের শুনানি করতে হাইকোর্টের এই বেঞ্চে উপস্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী।

হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর মামলা করে তখনকার দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে দুদক)। বিচার কার্যক্রম শেষে ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত এক রায়ে হাজি সেলিমকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০ বছর এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। এ  রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম।

২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে হাজি সেলিমের সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেয়। এরপর হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করে পুনরায় হাজি সেলিমের আপিলের শুনানি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়।

Tags: