সত্যিই এখন দেশের রাজা পুলিশ কি না- এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর। মন্ত্রণালয়ে তাঁর গাড়ি প্রবেশের সময় পুলিশের হয়রানিমূলক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশে কী যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে? দেশে কী মার্শাল ল’ চলছে? আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, সচিবালয়ের গেটে ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা অবশ্যই বিএনপি-জামায়াতের লোক। এরা সরকার, সংসদ সদস্য কাউকে মানতে চায় না, অপমাণ করতে চায়। অবিলম্বে ঘটনাটির তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নুরুল ইসলাম ওমর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) আমি সচিবালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পরে আমার একটি কাগজ পড়েছিল। কাগজটি আনার জন্য আমার ড্রাইভার আর পিএকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম সচিবালয়ে বাইরে। বাইরে এসে কাগজাটা নিয়ে সবিচালয়ে প্রবেশের সময় গেইটে গাড়িসহ পিএকে আটকে দেওয়া হয়। তাদের যুক্তি, যেহেতু এমপি সাহেব গাড়িতে নেই তাই সচিবালয়ের ভেতরে গাড়িসহ যেতে দেওয়া হবে না। আমি বার বার ফোন করলেও দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মোবাইল পর্যন্ত ধরেনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি একজন বলেছেন যে মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। তাহলে কি এটাই সত্যি হয়ে যাবে যে এই দেশের রাজা পুলিশ? তারা কাউকে মানবে না। একজন সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোন রিসিভ করবে না। তাই এই ঘটনার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হোক। তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কারণ আমি মনে করি, একজন সংসদ সদস্যকে অপমাণ করা মানে গোটা সংসদকে অপমাণ করা।
স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নুরুল ইসলাম আরো বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা কোন ধরনের নিরাপত্তা? একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি স্পিকারের কাছে দাবি করছি, এটা তদন্ত করা হোক। সচিবালয়ের গেটে যে পুলিশ সদস্য দায়িত্বে আছে অবশ্যই তারা জামায়াত-বিএনপির লোক। তারা আজকে সরকার এবং আমাদের কাউকে মানতে চায় না, বরং অপমানিত করতে চায় ।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/09-02-2016/মইনুল হোসেন