হরতালের সমর্থনে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিপুল পরিমাণ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকা থেকে পুরান থানা ইসলামিয়া মার্কেট পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান ও হেফাজত নেতা কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাওলানা কে এম নাজিমুদ্দিন।
আরও পড়ুন : খালি মুখ দেখলেই মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জেলা শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় তারা ওই কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও ভেতরের আসবাবপএ ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ভাঙচুর করার পর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
হরতাল চলাকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডের গৌরাঙ্গবাজার, শহীদি মসজিদ প্রাঙ্গণ, পুরান থানা, একরামপুর, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও আঠারো বাড়ি কাচারি মোড়ে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও হেফাজতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে প্রায় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুরো এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ঘটেনি। তবে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কিছু টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরসহ সব ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।