বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারের রাজধানীর তিনশ ফুট এলাকার ৪৫০ শতক জমি ও ধানমণ্ডির দুইটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে রোববার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আদালতের এক আদেশে এসব সম্পত্তি জব্দ করেন বলে সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারের একটি ১০ তলা ভবনসহ এক হাজার ৮০ শতাংশ জমি জব্দ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
রাজধানীর উত্তরায় পি কে হালদারের একটি ১০ তলা ভবন ছাড়াও গ্রিন রোড, উত্তরা, দিয়াবাড়ি, ৩০০ ফুট এলাকা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকায় থাকা ওইসব জমি জব্দ করতে আদালত থেকে আদেশ আসে।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরে আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই চার কোম্পানি হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। গত বছরের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারে অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে আরও একটি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি মামলা করেছে দুদকের ওই দল, যার প্রতিটিতে পি কে হালদারকে আসামি করা হয়েছে।