কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের পুরান থানা ও একরামপুর মোড় এলাকায় এই ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
জানা যায়, বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের একরামপুর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পুরান থানা এলাকায় গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও রেল লাইনের পাথর নিক্ষেপ করে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল। পরে পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কিশোরগঞ্জে আ.লীগ কার্যালয়ে হেফাজতের হামলা, আহত ৫০
জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানান, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া ও নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া হাজার খানেক বিএনপি নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল বের করে। বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে। এ সময় এক পরিদর্শকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার হেফাজতের ডাকা হরতালের সময় কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, আগুন ও পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে আড়াই হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন শহরের পুলিশ পরিদর্শক সোহরাব মিয়া। এ মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।