দেশে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষ করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ শনাক্ত হয়েছে। আর সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে কিশোরগঞ্জসহ দেশের ৩১টি জেলায়। এসব জেলাকে উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা জেলা হিসেবেও চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সাক্ষরিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কিশোরগঞ্জকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নাম হলো- মৌলভীবাজার, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, নরসিংদী খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, যশোর, মাদারীপুর, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল ও কক্সবাজার।
এক সপ্তাহ ধরে যেসব জেলায় শনাক্তের গড় হার ১০ শতাংশের বেশি, সেগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৩১টি জেলায় গড় শনাক্তের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন করে জেলায় ৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৭, ২৮,২৯, ৩০ ও ৩১ মার্চ ৫৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৭১ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। নমুনাগুলো শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে ১৯২ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ২১ হাজার ১২৫ জন ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করেছেন। ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ৭০ হাজার ১৬১ জন।