muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দূর পরবাস

মিসরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন

করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুজিবনগর সরকার ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার আহ্বানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মিসররের রাজধানী কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার ছুটির দিন থাকায় গতকাল রবিবার দুতাবাস হল রুমে মোহাম্মদ ফেরদাউস এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের প্রয়াত সব সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দুতাবাসের দুতালয় প্রধান জনাব মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসাইন, তৃতীয় সচিব জনাব মোহাম্মাদ আতাউল হক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় মুজিবনগর সরকারের ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মিসরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম। তিনি মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য এবং কীভাবে অস্থায়ী এ রাজধানী বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয় সে ইতিহাস তুলে ধরেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনার পরে ২৬ মার্চ জাতির জনক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির জনকের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব, কৌশল ও সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনার ফলে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা যা তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছিল। এ সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে বেশ কিছু সময়োযোগী পদক্ষেপ নেয়। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা যেন দ্রুত পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন দুতাবাসের প্রথম সচিব ও দুতালয় প্রধান মুহাম্মাদ ইসমাঈল হোসেন সহ অনেকে। মুজিব নগর দিবসের এ অনুষ্ঠানে দুতাবাসের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।

Tags: