muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের লকডাউন

জনগণ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে সরকার আবার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‌‘চলমান লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।’

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে শপিংমল, দোকান-পাট ও বাজারগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘ত্রাণ ও নগদ অর্থ যাতে বেহাতে না যায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে এবং যথাযথ জায়গায় যেন ত্রাণ পৌঁছে সেদিকেও নজর দিতে হবে।’ এ সময় ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরাই সাহায্য পাওয়ার যোগ্য।’

বরিশাল বিভাগে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বরগুনা জেলার জন্য দুই হাজার ওরস্যালাইন ও ২০০ পুশ স্যালাইন এবং বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে সাত হাজার ওরস্যালাইন ও ৫০০ পুশ স্যালাইন বিতরণ করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘পরীক্ষিত, মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দুরদর্শী নেতৃত্বে সংকট মোকাবিলা করে জনগণকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাবে অদম্য বাংলাদেশ।’

অনুষ্ঠানে করোনা টিকা নিয়ে বিএনপির আবারও অপপ্রচার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের দেশের জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের টিকাও যথাসময়ে জনগণ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘যারা সংশয়বাদী তারা সবকিছুতেই অনিশ্চিয়তা খুঁজে বেড়ায়, ছড়িয়ে দেয় বিভ্রান্তি। এ বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার বিএনপির নতুন কোনো রোগ নয়, তারা অনেক আগে থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত। বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।’ লকডাউন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যতটুকু গবেষণা করেছেন, তা বন্ধ করে জনগণকে সচেতন করার জন্য দুই-একটি বক্তব্য রাখলে করোনার সংক্রমণ রোধে সামান্যতম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতো বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি প্রথমে বলেছিল লকডাউন চাই, পরে বলে লকডাউন সমাধান নয়, আবার বলছে লকডাউন পরিকল্পিত নয়; কিন্তু এখন বলছে লকডাউনের নামে নেতাকর্মীদের অত্যাচার করছে সরকার- দলটির এ কথাগুলো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্ষণে ক্ষণে অ্যামিবার মতো অবয়ব পরিবর্তন ও ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করা বিএনপির লক্ষ্য।’ বিএনপির দ্বিচারিতা রাজনীতিতে জনগণ এখন বিভ্রান্ত হয় না, বরং তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত হয় বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম।

Tags: