“মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা ও বন্ধু? ” হ্যা একথা গুলো বাস্তবে রুপ দিতে দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ।
মরণঘাতী কোভিড-১৯ করোনাকালীন সময়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দু’বেলা খাবারের জন্য যাতে বাড়ির বাহিরে যেতে না হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে মঙ্গলবার (২৭এপ্রিল) দুপুর থেকে ৫ দিন যাবত ওসি এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে তার সাধ্যানুযায়ী অক্লান্ত পরিশ্রম করে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর, রামদী, উছমানপুর, ছয়সুতী, সালুয়া ও ফরিদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেন এই মানবিক খাদ্য সহায়তা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েন। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন এমন খবর পেয়ে গোপন ভাবে সেই সব মানুষের তালিকা করে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় ৫দিন ধরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায়দের বাড়ি গিয়ে হাজির হন তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এনামুল হক আবু বক্কর, আওয়ামী লীগ নেতা মো. গিয়াস উদ্দিন, এএসআই মো. মোশারফ হোসেন, এএসআই আল- আমিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, সাংবাদিক আলি হায়দার শাহিনসহ পুলিশ সদস্য ও গ্রাম পুলিশ।
এছাড়াও তিনি গত শুক্রবার বাদ জুমা কুলিয়ারচর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো- ১০ কেজি করে চাল, ২ কেজি করে আলু, ১ কেজি করে ডাল, ১ কেজি করে পেয়াজ ও ১ লিটার করে সোয়াবিন তৈল।
এসব খাদ্য সামগ্রী পেয়ে অনেকেই খুশি হয়ে থানার বড় বাবুর জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করেন।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশা পাশি নিজের অর্থায়নে একটু ভিন্নতা নিয়ে বিপন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো দেখে কুলিয়ারচর থানার ওসি এ.কে.এম সুলতান মাহমুদকে সাধুবাদ জানান অনেকেই।