মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময় ভর্তুকি (সাবসিডি) দিয়ে কম মূল্যে ডিজেল বিক্রি করেছি। ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এখন এই ঋণ বা দেনা শোধ হলেই তেলের দাম কমানো হবে।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপিসির প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা দেনা ছিল। এখন আমরা কিছুটা সাশ্রয় করছি। এর আগে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বাড়তি ছিল, তখন কিন্তু সংসদ সদস্য সাহেব ডিজেলের দাম বাড়ানোর দাবি করেননি, সেটা কিন্তু কেউ করেনি। তখন দুই-এক টাকা দাম বাড়ালে ভাঙচুরসহ নানা আন্দোলন শুরু হয়ে যেত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করা হয়েছে। আরো ঋণ শোধ করতে হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকম ভ্যাট, ট্যাক্স রয়েছে, সেগুলোও আমাদের পরিশোধ করতে হবে। এখনও প্রায় ১৫/১৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করার অপেক্ষায় রয়েছে। এসব ঋণ শোধ হলেই তেলের দাম কমানো হবে।
হাজী মো. সেলিম আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর সঙ্গে বাংলাদেশে দাম না কমানোর জন্য বিনিয়োগে হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি জানি না উনি কোথা থেকে পেলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না! জাপান, চীন ও ভারত থেকে শুরু করে ইউরোপীয় দেশগুলোসহ সবাই এখানে বিনিয়োগ করছে। জাপান এখানে ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি ভারত ও চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আরো বড় প্রস্তাব আসছে। বিশ্বের বড় বড় দেশ এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য লাইন দিচ্ছে। তাদের কাছে বাংলাদেশই এখন বিনিয়োগের সবচেয়ে উঁচুক্ষেত্র।