মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টির নানান অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ঐ সরকারের সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর দেয়া তথ্য যাচাই না করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করার বিষয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মি: আনামের বিরুদ্ধে সত্তুরটির বেশি মামলা হয়েছে।
এখন আবার গণমাধ্যমের জন্য তখনকার পরিস্থিতি নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। সেই সময়ে গণমাধ্যমের জন্য ছিল দম বন্ধ করা একটা পরিবেশ।
প্রতিটা মুহূর্ত আতংকের মধ্যে যেতো। হঠাৎ করেই টেলিফোন আসতো এবং কোন্ সংবাদ যাবে বা যাবে না, সে ব্যাপারে কমান্ডিং টোনে বলা হতো।
তখন সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী কাজ করতেন বেসরকারি একুশে টেলিভিশনে। টেলিফোনে নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি তাঁকে তিনবার ডিজিএফআই কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়েছিল। তিনি বলছিলেন, “প্রতিটা মুহূর্ত আতংকের মধ্যে যেতো। হঠাৎ করেই টেলিফোন আসতো এবং কোন্ সংবাদ যাবে বা যাবে না, সে ব্যাপারে কমান্ডিং টোনে বলা হতো। সব টেলিভিশনেই এক জায়গা থেকেই ফোন করা হতো। তখন সেই নির্দেশ মানা ছাড়া উপায় ছিল না।”
বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর টকশোতে আলোচক হিসেবে নেয়ার জন্যও তালিকা ধরিয়ে দেয়া হতো, সেই তালিকার হেরফের করলেই মামলা এবং গ্রেফতারের হুমকি আসতো।
সাংবাদিক কাজী জেসিন ঐ সময়ে একুশে টেলিভিশনে টকশো করতে গিয়ে চাপের মুখে পড়েছিলেন। তালিকা অনুযায়ী আলোচক নেয়ার পরও অপছন্দের প্রশ্ন করে তিনি হুমকি পেয়েছিলেন। “তখন হুমকির মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। আমাদের টেলিফোনও টেপ করা হতো। আসলে সেই সময়ে কাজ করতে গিয়ে বার বার থমকে দাঁড়াতে হয়েছে।” সেই সরকার ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাদের গ্র্রেফতার শুরু করেছিল।
ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, সেনা সমর্থিত সেই সরকার রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ তুলে ক্ষমতায় এসেছিল। সেটা প্রমাণ করার একটা চেষ্টা তাদের মধ্যে ছিল।
আর সেকারণে রাজনীতিবিদদের গ্রেফতারের ইস্যূ তৈরির জন্য পত্রিকা এবং বেসরকারি টেলিভিশনে তাদের বিরুদ্ধে খবর ছাপানোর জন্য চাপ তৈরি করা হতো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো হতো। তা ছাপানো নিয়েই এখন বিতর্ক চলছে। অনেক সময় চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদের সেসব ভিডিও এখনও ইউটিউবে পাওয়া যায়।
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর মধ্যেই ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সরকার এসেছিল, সেই সরকার ওয়ান এলেভেনের সরকার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
সাংবাদিক এবং গবেষক আফসান চৌধুরী বলেছেন, “জিয়াউর রহমান বা জেনারেল এরশাদের সময় যেমন সরাসরি সামরিক শাসন ছিল, ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সরকারের চেহারা তেমন ছিল না। বেসামরিক ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের কারণে এই সরকার ছিল অনেক বেশি জটিল।”
মি: চৌধুরী মনে করেন, এই জটিলতায় সাধারণ সাংবাদিকদের তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু সম্পাদক এবং মালিকরাই ছিলেন চাপের মুখে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা অবসরে গেছেন। তাদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
আমরা গ্রহণ করি আর না করি, সুশীল সমাজের একটা গোষ্ঠী, যাদের নিজেদের কোন সামাজিক বা দলীয় শক্তি নাই, তারা নতুন একটা গোষ্ঠী তৈরির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিল। সেটাই ছিল অন্যতম সমস্যা। তবে সেই সরকারে একজন উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ময়নুল হোসেন।
তিনি বলেছেন, জরুরি অবস্থা থাকায় তখন মৌলিক অধিকার ছিল না, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। একইসাথে তিনি দাবি করেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে তখন কোন চাপ দেয়া হয়নি। তবে, সিএসবি নামের একটি বেসরকারি টেলিভিশন বন্ধ করা হয়েছিল। এছাড়া ডেইলি স্টারের সাংবাদিক তাসনিম খলিলকে আটক করে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ সাংবাদিকদের জন্য একটা বার্তা দিয়েছিল।
অন্যদিকে, ২০০৭ সালের অগাষ্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সেনা ক্যাম্পে থাকা সৈনিকদের সাথে বাকবিতন্ডা থেকে ছাত্র বিক্ষোভ গড়ে উঠেছিল। পরে পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টার পরও সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।
তখন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভিতে কিছুটা নাড়া পড়েছিল। এবং সরকারের দিক থেকে কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়ে নির্বাচন দেয়ার কথা বলা হচ্ছিল। শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার অবস্থান থেকেও তারা সরে আসে। তখন সরকারের এক বছরের মাথায় নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও গণমাধ্যম চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকদের শক্ত কোন অবস্থান নেয়ার পরিবেশ ছিল না। সে কারণে সাংবাদিকরা কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি।
আফসান চৌধুরী পরিস্থিতিটাকে দেখেন ভিন্নভাবে। তিনি মনে করেন, ঐ সরকারের নতুন একটা গোষ্ঠী তৈরির চেষ্টা ছিল। তাতেও সাংবাদিকদের কেউ কেউ অংশীদার হয়েছিল। ফলে সাংবাদিকরা কোন অবস্থান নিতে পারেনি। “আমরা গ্রহণ করি আর না করি, সুশীল সমাজের একটা গোষ্ঠী, যাদের নিজেদের কোন সামাজিক বা দলীয় শক্তি নাই, তারা নতুন একটা গোষ্ঠী তৈরির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিল। সেটাই ছিল অন্যতম সমস্যা।”
বিভক্তির কারণে সাংবাদিকরা কোন অবস্থান নিতে পারে না । সেই সুযোগ বিভিন্ন সময় সরকারগুলো নেয় বলে মনে করেন ব্যারিষ্টার ময়নুল হোসেন। “সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, অথবা সরকারপন্থী বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত ছিলেন এবং রয়েছেন। সরকারগুলো সেই সুযোগ নেয়,” বলে মন্তব্য করেন ব্যারিষ্টার ময়নুল হোসেন।
সাংবাদিক এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণ মাধ্যমের কাজে বাধা সৃষ্টির নানান অভিযোগ সামনে আসায়, এখন তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার এবং অভিযোগুলো খতিয়ে দেখার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এখন আবার গণমাধ্যমের জন্য তখনকার পরিস্থিতি নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। সেই সময়ে গণমাধ্যমের জন্য ছিল দম বন্ধ করা একটা পরিবেশ।
প্রতিটা মুহূর্ত আতংকের মধ্যে যেতো। হঠাৎ করেই টেলিফোন আসতো এবং কোন্ সংবাদ যাবে বা যাবে না, সে ব্যাপারে কমান্ডিং টোনে বলা হতো।
তখন সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী কাজ করতেন বেসরকারি একুশে টেলিভিশনে। টেলিফোনে নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি তাঁকে তিনবার ডিজিএফআই কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়েছিল। তিনি বলছিলেন, “প্রতিটা মুহূর্ত আতংকের মধ্যে যেতো। হঠাৎ করেই টেলিফোন আসতো এবং কোন্ সংবাদ যাবে বা যাবে না, সে ব্যাপারে কমান্ডিং টোনে বলা হতো। সব টেলিভিশনেই এক জায়গা থেকেই ফোন করা হতো। তখন সেই নির্দেশ মানা ছাড়া উপায় ছিল না।”
বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর টকশোতে আলোচক হিসেবে নেয়ার জন্যও তালিকা ধরিয়ে দেয়া হতো, সেই তালিকার হেরফের করলেই মামলা এবং গ্রেফতারের হুমকি আসতো।
সাংবাদিক কাজী জেসিন ঐ সময়ে একুশে টেলিভিশনে টকশো করতে গিয়ে চাপের মুখে পড়েছিলেন। তালিকা অনুযায়ী আলোচক নেয়ার পরও অপছন্দের প্রশ্ন করে তিনি হুমকি পেয়েছিলেন। “তখন হুমকির মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। আমাদের টেলিফোনও টেপ করা হতো। আসলে সেই সময়ে কাজ করতে গিয়ে বার বার থমকে দাঁড়াতে হয়েছে।” সেই সরকার ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাদের গ্র্রেফতার শুরু করেছিল।
ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, সেনা সমর্থিত সেই সরকার রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ তুলে ক্ষমতায় এসেছিল। সেটা প্রমাণ করার একটা চেষ্টা তাদের মধ্যে ছিল।
আর সেকারণে রাজনীতিবিদদের গ্রেফতারের ইস্যূ তৈরির জন্য পত্রিকা এবং বেসরকারি টেলিভিশনে তাদের বিরুদ্ধে খবর ছাপানোর জন্য চাপ তৈরি করা হতো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো হতো। তা ছাপানো নিয়েই এখন বিতর্ক চলছে। অনেক সময় চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদের সেসব ভিডিও এখনও ইউটিউবে পাওয়া যায়।
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর মধ্যেই ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সরকার এসেছিল, সেই সরকার ওয়ান এলেভেনের সরকার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
সাংবাদিক এবং গবেষক আফসান চৌধুরী বলেছেন, “জিয়াউর রহমান বা জেনারেল এরশাদের সময় যেমন সরাসরি সামরিক শাসন ছিল, ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সরকারের চেহারা তেমন ছিল না। বেসামরিক ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের কারণে এই সরকার ছিল অনেক বেশি জটিল।”
মি: চৌধুরী মনে করেন, এই জটিলতায় সাধারণ সাংবাদিকদের তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু সম্পাদক এবং মালিকরাই ছিলেন চাপের মুখে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা অবসরে গেছেন। তাদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
আমরা গ্রহণ করি আর না করি, সুশীল সমাজের একটা গোষ্ঠী, যাদের নিজেদের কোন সামাজিক বা দলীয় শক্তি নাই, তারা নতুন একটা গোষ্ঠী তৈরির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিল। সেটাই ছিল অন্যতম সমস্যা। তবে সেই সরকারে একজন উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ময়নুল হোসেন।
তিনি বলেছেন, জরুরি অবস্থা থাকায় তখন মৌলিক অধিকার ছিল না, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। একইসাথে তিনি দাবি করেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে তখন কোন চাপ দেয়া হয়নি। তবে, সিএসবি নামের একটি বেসরকারি টেলিভিশন বন্ধ করা হয়েছিল। এছাড়া ডেইলি স্টারের সাংবাদিক তাসনিম খলিলকে আটক করে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ সাংবাদিকদের জন্য একটা বার্তা দিয়েছিল।
অন্যদিকে, ২০০৭ সালের অগাষ্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সেনা ক্যাম্পে থাকা সৈনিকদের সাথে বাকবিতন্ডা থেকে ছাত্র বিক্ষোভ গড়ে উঠেছিল। পরে পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টার পরও সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।
তখন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভিতে কিছুটা নাড়া পড়েছিল। এবং সরকারের দিক থেকে কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়ে নির্বাচন দেয়ার কথা বলা হচ্ছিল। শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার অবস্থান থেকেও তারা সরে আসে। তখন সরকারের এক বছরের মাথায় নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও গণমাধ্যম চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সাংবাদিকদের শক্ত কোন অবস্থান নেয়ার পরিবেশ ছিল না। সে কারণে সাংবাদিকরা কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি।
আফসান চৌধুরী পরিস্থিতিটাকে দেখেন ভিন্নভাবে। তিনি মনে করেন, ঐ সরকারের নতুন একটা গোষ্ঠী তৈরির চেষ্টা ছিল। তাতেও সাংবাদিকদের কেউ কেউ অংশীদার হয়েছিল। ফলে সাংবাদিকরা কোন অবস্থান নিতে পারেনি। “আমরা গ্রহণ করি আর না করি, সুশীল সমাজের একটা গোষ্ঠী, যাদের নিজেদের কোন সামাজিক বা দলীয় শক্তি নাই, তারা নতুন একটা গোষ্ঠী তৈরির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিল। সেটাই ছিল অন্যতম সমস্যা।”
বিভক্তির কারণে সাংবাদিকরা কোন অবস্থান নিতে পারে না । সেই সুযোগ বিভিন্ন সময় সরকারগুলো নেয় বলে মনে করেন ব্যারিষ্টার ময়নুল হোসেন। “সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, অথবা সরকারপন্থী বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত ছিলেন এবং রয়েছেন। সরকারগুলো সেই সুযোগ নেয়,” বলে মন্তব্য করেন ব্যারিষ্টার ময়নুল হোসেন।
সাংবাদিক এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গণ মাধ্যমের কাজে বাধা সৃষ্টির নানান অভিযোগ সামনে আসায়, এখন তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার এবং অভিযোগুলো খতিয়ে দেখার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
Tags: