লক্ষীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়ার দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে আগামী ২১ জুন লক্ষীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল।
এর আগে গত ৮ জুন লক্ষীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
লক্ষীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেন বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া। এদিকে গত ৮ জুন মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালত দণ্ডিত লক্ষীপুর-২ আসনের কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এদিকে লক্ষীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।