সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাবেক ওসি প্রদীপসহ ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
রোববার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ মামলার চার্জ গঠন ও শুনানি শেষে ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই বাদী পক্ষের ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওসি প্রদীপসহ ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, প্রমাণ করতে পেরেছি, ওই দিন চেকপোস্টে পরিদর্শক লিয়াকত ও ওসি প্রদীপসহ আসামিরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তাই জামিন চাওয়া হলেও ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি এজাহার এবং চার্জশিটে গরমিল রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টা আমলে নেননি। তাই জামিন নাকচ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলাটির তদন্তের জন্য র্যাবকে আদেশ দেন।
এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার তিন জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিদের র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব।