করোনাভাইরাস বিস্তারিত রোধে দেশে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাতের এ বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার সকালে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে ২১টি নির্দেশনা রয়েছে। শুরুতেই বলা হয় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এ সময় বন্ধ থাকবে। বিমানসহ সড়ক, রেল, নৌ পথে গণপরিবহন ও সকল প্রকার যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে।
আরও জানানো হয়, শপিংমল, মার্কেটসহ সকল প্রকাশ দোকানপাট বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল সার্ভিস দিতে পারবে। রয়েছে উন্মুক্ত স্থানে বাজারের নির্দেশনা।
তবে অফিস বন্ধ থাকলেও ব্যতিক্রম রয়েছে শিল্প-কারখানার ক্ষেত্রে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।
এ সময় বন্দরসমূহ ও সংশ্লিষ্ট অফিসে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় সেবার সঙ্গে জড়িতরা পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে এ সময় চলাচল করতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ও ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।