জনসমাগম নেই। যানবাহনের দৌরাত্মও নেই সড়কে। মোটরসাইকেলে করে অনেকে চলাচল করলেও জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের। কোথাও কোনো ব্যত্যয় দেখলেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে ‘কঠোর লকডাউনে’ কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে।
লকডাউনের প্রথম দিন সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রয়েছে। সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে শহরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কম। সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
লকডাউন বাস্তবায়নে কিশোরগঞ্জ সদর, কটিয়াদী ও ভৈরবে তিন প্লাটুন সেনাসদস্য নামানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহ সেনানিবাসের ৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন সাজ্জাদের নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ সদরে এক প্লাটুন, ক্যাপ্টেন রিমানের নেতৃত্বে কটিয়াদীতে এক প্লাটুন ও মেজর সাইমনের নেতৃত্বে ভৈরবে এক প্লাটুন সেনাসদস্য কাজ করছেন।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, জেলা শহরে ২০টি এবং অন্য ১২টি উপজেলায় ৩৩টি পয়েন্টে পুলিশের ৫০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো ইউনিটসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের দল মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, চলমান বিধিনিষেধে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন প্লাটুন সেনা সদস্য, দুই প্লাটুন বিজিবি, ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য, র্যাব ও আনসার সম্মিলিতভাবে কাজ করেছেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯২ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলায় বর্তমান রোগীর সংখ্যা মোট ৭৬২ জন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। মোট রোগী ৭৬২ জনের মধ্যে সেখানেই ৫৫৪ জন।