মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- স্বাগতম, আপনি যখন এই ফিচারটিতে ক্লিক করেছেন অথবা পড়ছেন, ধরেই নিচ্ছি আপনি বিবাহিত। শুভাকাঙ্খী হিসেবে আপনাকে কয়েকটা কথা জানিয়ে রাখি। সেই সবক’টি কথাই আপনার বিবাহিত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
পুরুষমানুষের জীবনে স্ত্রী হল অতি প্রয়োজনীয় । তিনি জীবন পালটে দিতে পারেন। আবার ঘেঁটেও দিতে পারেন। স্ত্রী কাছে থাকলে তেমন কিছু মনেই হয় না। আবার চোখের আড়াল হলে প্রাণ কেঁদে ওঠে। সেই স্ত্রীকে ম্যানেজ করে চলা পুরুষের কাছে খুব টাফ কাজ। অনেককিছুই তাঁকে বলা যায় না। যেমন –বয়স। বয়স নিয়ে কোনও কথাই বলতে যাবেন না অর্ধাঙ্গিনীকে। সেটি কিন্তু খুব স্পর্শকাতর বিষয়। সবসময় মনে রাখবেন, তিনি আপনার চোখে চিরযুবতি হয়েই থাকতে চান।
খাবার বানানোর জন্য হুকুম করবেন না স্ত্রীকে। স্ত্রী যে কেবল হেঁশেল ঠেলার জন্য জন্মগ্রহণ করেননি, সেটা মনে রাখবেন। মাঝেমধ্যে আপনিও তাঁকে রান্নাঘরের কাজে সাহায্য করতে পারেন। এতে সম্পর্ক ভালো বই খারাপ হবে না।
নিজের মায়ের সঙ্গে তুলনা টেনে কোনও কথা তাঁকে বলতে যাবেন না। এটাও কিন্তু স্ত্রীমনের খুব স্পর্শকাতর জায়গা। মনে রাখবেন, মা মায়ের জায়গায়। স্ত্রী, স্ত্রীয়ের জায়গায়।
কোনওদিনও তাঁকে মোটা বলবেন না। জিমে যাওয়ার কথা বলবেন না। তিনি কিন্তু রেগে আগুন হয়ে যেতে পারেন।
পরস্ত্রীর রূপের প্রশংসা করবেন না। কখনও বলবেন না, অমুকের স্ত্রী সুন্দরী। তমুকের প্রেমিকা দারুণ। নিজেকে স্ত্রীর স্থানে বসিয়ে বিচার করে দেখুন। আপনিও কিন্তু স্ত্রীর মুখে পরপুরুষের প্রশংসা সহ্য করতে পারেন না।
স্ত্রী কথা শোনাতে শুরু করলে ভদ্র স্বামীর মতো তখনকার মতো চুপ করে যান। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আলোচনা করতে পারেন। নিজের খারাপ লাগাগুলো তখনই বলুন। কিন্তু স্ত্রীর মাথা গরমের সময় দুটো বাড়তি কথা বলে আগুনে কর্পূর ছিটিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, সুখী দাম্পত্য চাইলে স্ত্রীকে ঠান্ডা রাখাই হল আসল। স্ত্রী শান্ত থাকা মানে, জীবনে অশান্তি কম, সুখ বেশি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/22-02-2016/মইনুল হোসেন