গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের মতো আবারও বাংলাদেশকে ভোগালেন রোহিত শর্মা। সবুজ উইকেটে ফায়দা পুরোপুরি তুলতে পারল না বাংলাদেশের বোলাররা। মাশরাফিদের সামনে তাই লক্ষ্যটা কঠিন।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান করে ভারত। গত মার্চে মেলবোর্নে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলা রোহিত এবার করেছেন ৫৫ বলে ৮৩!
ইনিংসের একাদশ ওভারে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান রোহিত। রান ছিল তখন তার ২৮ বলে ২১। পরের ২৭ বলে তিনি করেছেন ৬২ রান!
উইকেট-কন্ডিশন পেস বোলিংয়ের জন্য ছিল আদর্শ। ঢাকায় সকাল থেকেই ছিল মেঘ-রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি। টসের সময়ও আকাশ ছিল মেঘলা, বাতাস ভেজা; উইকেট ঘাসে ভরা। টস জিতে বোলিং বেছে নিতে সময় নেননি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বল হাতে শুরুটাও ছিল কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু ধরে রাখা যায়নি সেই ধারা।
বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আল আমিন হোসেন। ভেতরে ঢোকা বল শিখর ধাওয়ানের (২) ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে উড়িয়ে দেয় স্টাম্প।
উইকেটে গিয়েই ব্যাটের কানায় লেগে চার পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে বেশ কবার ব্যর্থ হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানকে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে। শেষ পর্য্ত ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাশরাফির একটু বাড়তি লাফানো বল তুলে মারতে গিয়ে কোহলি (৮) ক্যাচ দিয়েছেন মিড অফে।
বাঁহাতি সুরেশ রায়নার জন্য অফ স্পিনার মাহমুদউল্লাহকে সাকিবের আগেই বোলিংয়ে আনেন মাশরাফি। কাজেও লেগে যায় মাশরাফির ভাবনা। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসা রায়নাকে খানিকটা ভেতরে ঢোকা ফ্লাইটেড বলে বিভ্রান্ত করে বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ (১৩)।
৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কম্পমান ভারত। নড়বড়ে সেই ভিত শক্ত হয় রোহিত-যুবরাজের জুটিতে। যুবরাজের অবদান ছিল তাতে সামান্যই, শুধু সঙ্গ দিয়ে গেছেন। আরেক প্রান্তে দারুণ সব শটের পসরা মেলে ধরেছিলেন রোহিত।
যদিও ক্যাচ দিয়েও রোহিত পার পেয়েছে ঝড় তোলার আগেই। তাসকিনের বলে পয়েন্টে রোহিতের ক্যাচ ছেড়েছেন সাকিব। জীবন পেয়ে ব্যাটের গতিই পাল্টে যায় তার। পরের তিন বলেই চার-ছক্কা-চার!
যুবরাজকে (১৫) ফিরিয়ে ৫৫ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব। কিন্তু রোহিত ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন। আর দারুণ সব শটে বাংলাদেশের বোলিং এলোমেলো করে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুস্তাফিজের এক ওভারে দুজন নেন ২১ রান। মাত্র ২৭ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন দুজন।
দুজনই আউট হয়েছেন আল আমিনের করা ইনিংসের শেষ ওভারে। সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচে ফিরেছেন রোহিত। ১৮ বলে ৩১ করে লং অনে ক্যাচ দেন পান্ডিয়া। শেষ বলের ছক্কায় ইনিংস শেষ করে ধোনি। শুরুর সব অস্বস্তি কাটিয়ে ভারত তখন স্বস্তির স্কোরে!
বাংলাদেশের আল আমিন নিয়েছেন ৩ উইকেট; মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব একটি করে।