মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের পথ নিজেই দেখবে বলে জানিয়েছেন তাঁর মা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সম্পূরক প্রশ্নে ফখরুল ইমাম বলেন, ‘জয় বাংলা’ দুটি শব্দ এবং ‘প্রথম’ শব্দটি নিয়ে আপনি কি চিন্তা ভাবনা করছেন? পাশাপাশি পুরুষের অধিকার নিয়ে উনি কী চিন্তাভাবনা করছেন?
প্রশ্নকর্তার এসব প্রশ্ন শুনে অধিবেশনের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আপনার প্রশ্ন তো সম্পূরক নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার ঘরে ওনি যে ওনার বউকে এত ভয় পান- এটা আমরা জানতাম না। তবে ভাগ্য ভাল ওনি ওনার ঘরে পুলিশি পাহারার কথা বলেন নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীকে আসলে কেউ বদলাতে পারে না। জীবন বদলাতে পারে। ঘরে আপনি চ্যানেল বদলাতে পারেন না। এটা তো সমঝোতা করে নেয়া যায়। কে কখন কতটুকু সময় টেলিভিশন দেখবেন। যিনি আপনার ঘরের কর্ত্রী তার সাথে বসে একটা সমঝোতা করে নেন যাতে চ্যানেল বদলানো নিয়ে কোন সংঘাত না হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘জয় একটি শব্দ, বাংলা আরেকটি শব্দ। দুটো মিলেই কিন্তু জয় বাংলা। জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান। জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়েই আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটাই ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা দায়ী শ্লোগান। কাজেই এই শব্দটাকে ভাগ করার উপায় নেই। তবে আমি জানি না, মাননীয় স্পিকার ওনি কি বলতে চেয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি। তাদেরকে একটি কথাও বলেছি। তোমাদের কোন সম্পদ দিতে পারব না। তোমাদের একটি বড় সম্পদ যত পার শিক্ষা গ্রহণ কর। ওটাই তোমাদের জীবন-জীবিকা তৈরি করে দেবে। আর তাদের জীবনের ভবিষ্যত তারা নিজেরাই ঠিক করবে। এ দায়িত্ব তাদের নিজেদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছি। কাজেই জয় ভবিষ্যতে কী করবে এটা সম্পূর্ণ তার উপর নির্ভর করে। সে কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করছে। আজকে যে ডিজটাল বাংলাদেশ করছি সেখানে ডিজিটাল শব্দটি থেকে শুরু করে যতটুকু অর্জন তার পরামর্শ মতই হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে কিন্তু জনগণের সেবা ও তাদের সাহায্য করছে। কিন্তু কোনকিছু পাওয়ার আশা করেনি বা নিতে আসেনি। সে যতটুকু পারছে দিচ্ছে। ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানের প্রেরণাই তাকে উদ্দীপ্ত করছে দেশের সেবা করতে। আর তার পথ সে নিজে দেখবে।’