এই দলটির সাথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনো দেখা হয়নি বাংলাদেশের। বলা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা। তাদের সাথে শুক্রবার এশিয়া কাপে টাইগারদের খেলা।
কখনো খেলা হয়নি এমন প্রতিপক্ষ বটে, তবে একেবারে অজানা কি? এই তো বাংলাদেশের এশিয়া কাপের বাছাই পর্বে যারা প্রবল দাপটে সেরা হয়েছে। চলে এসেছে মূল পর্বে। তাদের কীর্তি তো জানাই। বাংলাদেশ তাই এমন প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেয়ার ভুল করতে চাইছে না কোনোভাবে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে সন্ধা সাড়ে সাতটায়।
প্রথম ম্যাচে ভারতকে চেপে ধরেও হাতটা আলগা হয়েছিল। সাকিব আল হাসানের একটা ক্যাচ মিস কি যে পোড়ালো! শেষ পর্যন্ত ব্যাটিংয়েও ব্যর্থতা। ভারতের কাছে ৪৫ রানে হেরেই ঘরের মাটিতে এশিয়া কাপ শুরু করেছে টাইগাররা। মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের কাছে আমিরাতের বিপক্ষের ম্যাচের গুরুত্ব তাই আরো বেড়েছে। টুর্নামেন্টে জয়ে ফিরতে এই ম্যাচের গুরুত্ব অসীম। ধাক্কা লাগা আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এই ম্যাচের গুরুত্ব অনেক। টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতেও এটা গুরুত্বের ম্যাচ। সবদিক দিয়ে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।
প্রথম ম্যাচের পর এসেছে এই ম্যাচের প্রসঙ্গ। মাশরাফি বলেছিলেন, “ভারতের বিপক্ষে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছি, ঠিক একই রকম সমান গুরুত্ব দিয়ে আমাদের মাঠে নামতে হবে। এই ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা থেকে দলকে টেনে তোলার কাজটা অধিনায়ক মাঠের বাইরে করেছেন। মাঠে সেই কাজটা সব খেলোয়াড়কে এক জোট হয়ে করতে হবে এবার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসলে দুই দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকে না। বড় বা ছোটো দল বলে কিছু নেই। আমিরাতের সামনে কি বাংলাদেশ খুব বড় দল? টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের ফেভারিট বলা হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিং করার সময় অর্ধেকের বেশি সময় বাংলাদেশের আধিপত্য ছিল। কিন্তু এটাও সত্যি যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এদিক ওদিকের সবটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এখনো বুঝে উঠতে পারেননি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে পার্টনারশিপ দাঁড়ায়নি। সাব্বির রহমান ৪৪ রান করলেও অন্যরা দাঁড়াতে পারেননি। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল অনুপস্থিত। সৌম্য সরকারের সাথে নামা মোহাম্মদ মিথুনও ব্যর্থ। বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পার্টনারশিপ চাইছেন। ভালো পারফরম্যান্স চাইছেন। নইলে যে সবকিছুই কঠিন হয়ে যাবে!
আমিরাতের জায়গায় সবাই হয়তো আফগানিস্তানকে কল্পনা করেছিল। কিন্তু বাছাইয়ে ১৬ রানে আফগানদের হারিয়ে দেয় আমিরাত। পরের দুই ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে তারা। হংকংকে ৬ উইকেটে ও ওমানকে ৭১ রানে হারিয়েছে। ডান হাতি পেসার মোহাম্মদ নাভিদ ৭ উইকেট নিয়েছেন। আর মোহাম্মদ শাহজাদ ১১১ রান করেছেন। তারকা পারফর্মার তারা। তবে এটা বুঝতে হবে যে যারা বাছাই উৎরে বড়দের সাথে খেলতে আসতে পারে তাদের যে কোনো কিছু ঘটিয়ে দেয়ার সামর্থ্য অবশ্যই আছে। আর খেলাটা যখন টি-টোয়েন্টি তখন ব্যাপারটা আরো সত্য। বাংলাদেশকে তাই সতর্ক থাকতেই হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/25-02-2016/মইনুল হোসেন