করোনাভাইরাসের মডার্নার ২৯ ডোজ ভ্যাকসিন এবং দুই হাজার ডোজের খালি বক্সসহ গ্রেপ্তার রাজধানীর দক্ষিণখানস্থ দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা মালিক পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত এ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির দিন আগামী ২৩ আগস্ট ধার্য করেন। এদিকে এই চিকিৎসক চিকিৎসা নিতে আসা ১৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল চার্জও গঠন করেছিল বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এ আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার এসআই (নি.) আব্দুল আজিজ। তবে এদিন তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে আসামি বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় করোনাভাইরাসের মডার্নার ২৯ ডোজ ভ্যাকসিন এবং দুই হাজার ডোজের খালি বক্স উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দক্ষিণখান থানার এসআই (নি.) রেজিয়া খাতুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের দাবি, দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা নামের এই ক্লিনিক থেকে চড়া দামে বিক্রি করা হতো এসব ভ্যাকসিন। এ আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা সম্পর্কে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মামলার বাদীর মেয়ে (১৩) চোখের আঘতের সমস্য নিয়ে আসামিকে দ্বারা চিকিৎসার করান। কিন্তু সমস্য ঠিক না হওয়ায় ২৩ এপ্রিল দুপুর আড়ায়টায় আবার গেলে আসামি পরীক্ষা করে স্যালাইন লাগান এবং একটি ইনজেকশন আনার জন্য ভিকটিমের বাবাকে পাঠান। বাদী অনেক খোঁজাখুঁজির পর তা না পেয়ে সাড়ে ৩টার দিকে ফেরত আসেন এবং বেলা ৪টার দিকে স্যালানইন শেষ হওয়ায় মেয়েকে বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় যাওয়ার পর মেয়ে আর অসুস্থ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসায় সে জানায়, স্যালাইন দেওয়ার সময় আসামি তাকে ধর্ষণ করেন।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ওই মাসের ২৭ এপ্রিল দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার মামলার দিনই গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তীতে সে ওই মামলায় জামিন পান। পরবর্তীতে পুলিশ মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করলে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামি বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।