muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

সংসদীয় সীমানা নির্ধারণে নতুন আইন পাসের সুপারিশ

সংসদে তোলা ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি।

রোববার এই সুপারিশ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এই বৈঠক হয়।

এতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সেলিম আলতাফ জর্জ এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জমান সরকার বলেন, আমরা বিলটি চূড়ান্ত করে দিয়েছি। মন্ত্রণালয় যেভাবে দিয়েছে সেখানে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে বিলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স’ রহিত হবে। প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যমান আইনে নেই।

বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়। সামরিক সরকারের আমলে জারি হওয়া ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্সের’ সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।

বিদ্যমান আইনের ৮টি ধারার স্থলে প্রস্তাবিত আইনে ৯টি ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন ধারাটিতে আইনের অধীনে বিধি প্রণয়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বিধি প্রণয়নের সুযোগ নেই। বিদ্যমান আইনের ধারা-১ একটি নতুন উপধারার প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে আইনটি ‘অবিলম্বে কার্যকর হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পুরো দেশকে উক্ত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা ও আদমশুমারির ভিত্তিতে যতদূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে।

বিলের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

Tags: