ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের জন্য পাকিস্তানি মিডিয়া আজহার আলিদের অনভিজ্ঞতাকে ঢাল বানিয়েছিলো। বাংলাদেশকে তারা ততোটা কৃতিত্ব দেয়নি, যতোটা মাশরাফিরা প্রাপ্য। পরে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে শহিদ আফ্রিদিও একই কথা বলেছেন। সাথে এও বলেছেন যে, টি-টোয়েন্টিতে তারা বেশ অভিজ্ঞ। কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ দলও খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না মাশরাফির বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কাছে। স্বভাবতই আনন্দে হাসছে বাংলাদেশ। এই হাসিই কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের জন্য।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১৪১ রান তুলে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ রান আসে তাদের অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান মুখতার আলি। অভিজ্ঞ আফ্রিদির ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। হাফিজ করেন ২৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ।
পরে ১৪২ রানের লক্ষ্যটা সাত উইকেট হাতে রেখেই পূরণ করে বাংলাদেশ। তিনটি উইকেট একটু দ্রুত পড়ে গেলেও সাব্বির ও সাকিবের চতুর্থ উইকেট জুটিতে কাজটা একদম সহজ হয়ে যায়। ৬৩ বলে জুটিতে সেঞ্চুরি করেন তারা। হয়ে যায় দুজনের হাফ সেঞ্চুরিও। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ওয়ানডেতে সেভাবে সুযোগ না পাওয়া সাকিব ও সাব্বির।
বাংলাদেশের সামনে ‘অভিজ্ঞ’ পাকিস্তানও পাত্তা পেলো না কোনো। তার মানে ওয়ানডে সিরিজের জয়টাকে আরো খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এই বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য!
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ/ এম ইউ