muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ঘর জামাই’ ডাকা নিয়ে সংঘর্ষ, ২৬ জন হাসপাতালে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামে বুধবার রাতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ২৬ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ও ভর্তি হন। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।

এলাকাবাসী ও সংঘর্ষে আহতদের সূত্রে জানা গেছে, আটলা গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া বুধবার দুপুরে একই এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে খুরশিদ মিয়াকে ‘ঘর জামাই’ বলে ডাক দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এলাকার হাজি মার্কেটের সামনে খুরশিদ মিয়াকে মারধর করেন সোহাগ মিয়া। তাৎক্ষণিকভাবে বাজারে থাকা লোকজন সোহাগ ও খুরশিদ মিয়ার বিষয়টি নিষ্পতি করে দেন। পরে রাতের বেলা উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এতে আহতদের মধ্যে সোহাগ মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (২৪), আল-আমীন (৩৫), সাইদুল মিয়া (২৭), রুবেল মিয়া (১৯), হৃদয় মিয়া (২০), আনার মিয়া (৪৫), রিমা আক্তার (২৬), সাজু বেগম (২৩), সানজু আরা (১৫), ময়না বেগম (১০), সাদিক মিয়া (৭), সাহানা বেগম (৫০), হামিদা খানম (২০), খুরশিদ মিয়া (২৩), রাশেদ মিয়া (৩৮), কাসেম মিয়া (৩০), রিপন মিয়া (১৬), নাজমুল মিয়া (১৩), রাহিমা (১১), নাদিয়া বেগম (৯), কারিমা আক্তার (১৪), রিফাত (১৪), ফারুক (৩০), ইকবাল (২৬) ও বাবুল (২৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ও চিকিৎসা নেন।

মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল-আমিনুল হক পাভেল সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এক ব্যক্তিকে ঘর জামাই ডাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ এ বিষয়ে কেউ থানায় মামলা দায়ের করেননি।

Tags: