‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আজ শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের উপর সংসদ সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গত ৩ জুলাই বিলটি সংসদে তুলেছিলেন আইনমন্ত্রী। তখন তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলে রায় অনুযায়ী, সামরিক সরকারের অধীনে জারি করা আইনের বৈধতা দিতে এবং বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি পাস হয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে নতুন আইনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পুরো দেশকে উক্ত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং আদশশুমারির ভিত্তিতে যতদূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন ‘এটি আইনে পরিণত হলে জাতীয় সংসনের একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’
বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যমান আইনগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। একাদশ জাতীয় সংসদের আাগে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনটিও সংস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা না হওয়ায় বিদ্যমান আইনেই সীমানা পুনর্বিন্যাস করে ওই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। পরে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠায় ইসি।
বিলটি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের সময় বিএনপির হারুনুর রশীদ বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। সামরিক আমলের জারি করা আইনগুলোর নতুন করে প্রণয়নের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরায় আপত্তি করেন তিনি।