ভারতে এই মুহূর্তে ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়া সব ভিসা চালু আছে; করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ট্যুরিস্ট ভিসাও চালু হবে।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে সীমান্তের শূন্য রেখায় সাংবাদিকদের একথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
ট্যুরিস্ট ভিসা কবে নাগাদ চালু হবে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। বর্তমানে ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়া সব ধরনের ভিসা চালু আছে। দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে। কভিড পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে দুদেশের যাত্রীদের সুবিধা হবে।
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বর্তমানে ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন বেড়েছে। ভারতে থেকে বাংলাদেশে অক্সিজেন ও অক্সিজেন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ভ্যাকসিনও সরবরাহ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তাছাড়া কিছু আর্থিক সমস্যাও রয়েছে। ভারতের অংশের কাজ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ অংশে কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করছি আগামী বছরের ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে।
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, সড়কপথ ভাল করা, রেলপথ মজবুত করা এবং নৌপথ ব্যবহারের জন্য দুদেশের মধ্যে কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে দুদেশই উপকৃত হবে। এটা আমাদের দুদেশের বন্ধুত্বের জন্যও ভালো হবে।
ভারতের হাই কমিশনার আরও বলেন, গত চারমাসে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বেড়েছে। রেলের মাধ্যমে মালামাল আনা-নেওয়া চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে বেনাপুল, পেট্টাপুলের মত এ বন্দরের সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
বিক্রম দোরাইস্বামী দুই দিনের সফরে ভারতের আসাম যাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। এর আগে তিনি সড়কপথে ঢাকা থেকে বেলা ১টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাজমুল হাসান, আখাউড়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।