muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিদের কোন স্থান নেই : তথ্যমন্ত্রী

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ১/১১’র সময় কার ভূমিকা কি ছিল, কারা কি করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য একটি কমিশন করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে আর কখনও ১/১১’র পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, গণতন্ত্রে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, জিহাদী, হরকাতুল জিহাদ, তেঁতুল হুজুরসহ তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের জন্য গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোন স্থান নেই।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়া অপরাধ করলে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইন তার জন্যও সমান। বিএনপি একটি সামরিক শাসকজাত জেনেটিক্যালি পাকিস্তানপন্থী ও সামরিকপন্থী অগণতান্ত্রিক দল।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ২৫তম দিনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, সরকারি ডা. দীপু মনি, দলের আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবুল কালাম আজাদ, মোরশেদ আলম, জাহিদ আহসান রাসেল, তালুকদার মো. ইউনুস, এম. আবদুল লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া, বেগম জেবুন্নেসা আফরোজ, বেগম সেলিনা আক্তার বানু, হোসনে আরা বেগম ও জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন আলোচনায় অংশ নেন।
গত ২০ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
গত ২৪ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে হুইপ ইকবালুর রহিম তা সমর্থন করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অনেক আগেই এমডিজি-৪ অর্জন করেছে। এখন এমডিজি-৫ অর্জনের পথে।
তিনি বলেন, আগামী ১৯ তারিখে ঢাকায় আন্তর্জাতিকমানের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। স্বাস্থ্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতকে সঠিকভাবে এগিয়ে নেয়া গেলে ২০১৯ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয় লাভ করবে। দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর সামরিক সরকার দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। এখনও দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে একটি অশুভ শক্তি সোচ্চার রয়েছে।
তিনি বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিক, ব্যারিস্টার এদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়াসহ আমার মতো আরও অনেকেই বিনা অপরাধে জেল খেটেছে। ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে আমাদের সাজা দেয়া হয়েছে। এখন তারা সরি বলছেন। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদরা ভুল করলে জেল খাটতে হয়, আর তারা ভুল করলে সরি বললেই সেরে যায়। সরি বললেই কি আমি সুস্থ হয়ে যাবো? অথচ রাজনীতিবিদরাই বুকের রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে। জীবন দিয়ে আমরা দেশ এনেছি, আমরাই হয়ে গেছি গণতন্ত্রের শত্রু। মাহফুজ আনাম আর ব্যারিস্টার মইনুলরা হয়ে গেছেন গণতন্ত্রের বন্ধু।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওই সময় আদালতে দাঁড়িয়েও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। তিনি দেশে থেকেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের কথা উচ্চারণ করেছেন। অথচ বেগম খালেদা জিয়া ছেলেদের বাঁচানোর জন্য বাক্সপেট্রা গুছিয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১/১১’র সময় গণতন্ত্রকে হত্যার চক্রান্ত হয়েছে। ২০০৭ সালের অক্টোবরে একজন অর্থনীতিবিদ হঠাৎ শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেলেন। অথচ তিনি কখনও শান্তির জন্য কাজ করেননি। এটা ছিল সুস্পষ্ট একটি ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার দল পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাই তারা আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। মানুষ হত্যা করে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করতে তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে এবং ওই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া অংশ নেবেন। ওই নির্বাচনে শান্তির প্রতীক নৌকায় মানুষ ভোট দিবে এবং অবশ্যই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে তাদের সাথে ভোটযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনেও তাদের কেউ ভোট দেবে না। কারণ খালেদা জিয়াকে ভোট দেয়ার অর্থই হচ্ছে হাওয়া ভবন আর দুর্নীতিতে ফিরে আসা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার তার দুই বছর পার করেছে। এই দুই বছর সরকারের জন্য কুসমাস্তীর্ণ ছিল না। বিগত বছরে সরকারের বর্ষপূর্তিতে বিএনপি-জামায়াত দেশে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ নারী-পুরুষ, শিশু হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, একদিকে পশ্চিমা বিশ্ব জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে। আবার তাদের রাজনীতিতে স্থান দেয়ার কথা বলছে। জামায়াত একাত্তরে যা করেছে এরপর তাদের রাজনীতিতে স্থান দেয়ারই কথা ছিল না। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি। এরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএনপি যদি স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরে আসতে হয়, তাহালে তাদের জামায়াতকে ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আসতে হবে। শহীদের সংখ্যা বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন ধরনের অবান্তর প্রশ্নের উদ্রেগ করা যাবে না।
তিনি এক এগারোর কুশীলবদের বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচাপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তিনি প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করেন বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন সরকারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছিল। কিন্তু সে প্রতিবেদনের সুপারিশ আজো বাস্তবায়ন করা হয়নি।
তিনি বলেন, দেশে বিগত ৭ বছরে কৃষি উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু এর অবদান যাদের সেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তিনি ধানসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, শিল্পনীতিতে পর্যটনকে এ নম্বর সেক্টর হিসেবে ষোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে একটি অবস্থান করে নিয়েছে। বিমান এবং পর্যটন শিল্পকে যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়, তাহলে আরএমজি সেক্টরের পরে জিডিপিতে এই সেক্টর অবদান রাখতে পারবে। তবে এখাতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সবচেয়ে কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিমান বন্দর স্থাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানগুলো জনগণকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার বিমানবন্দর, খানজাহান আলী ও সৈয়দপুর বিমান বন্দর উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। জামায়াত কখনো আইএস, কখনো বিভিন্ন জঙ্গী নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সরকার দৃঢ়তার সাথে শক্ত হাতে তা দমন করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রপতি ভাষণে মহাজোট সরকারের সাফল্যের চিত্র বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন, ৩৩ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, রিজার্ভ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরাও পারি।
তিনি বলেন, যখন শেখ হাসিনা দেশকে সবক্ষেত্রে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন বেগম খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছেন। বিভিন্নভাবে বর্তমান উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। যারা বেগম জিয়ার পক্ষ নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কোন ঘাটতি নেই। তবে গণতন্ত্রের জন্য বিপদ আছে। বেগম জিয়াকে জোর করে কেউ নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দেয়নি। তিনি নিজেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দেশ এবং সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিভিন্ন নাশকতার আশ্রয় নিয়েছেন। দেশকে গণতন্ত্র ও সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোন ব্যক্তি বা পরিবারের শাসন নেই। এখানে আইনের শাসন চলছে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আর এজন্যই অপরাধীরা আইনের শাসনকে কর্তৃত্ববাদী মনে করছে।
হাসানুল হক ইনু ১/১১’র শাসনামলে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের ভূমিকার বিষয়ে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দেশে হৈ চৈ পড়ায় সরকারের বক্তব্যে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি সংগঠনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ’৭৫’র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন, সেনা ছাউনিতে সামরিক অফিসার হত্যা, কর্নেল তাহের হত্যা, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে এ সব আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কোন বিবৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে সংবাদপত্রে সম্পাদকরা যেমন সরকারের সমালোচনা করবেন, তেমনি সরকারেরও সম্পাদকদের সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে। এতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বা গণতন্ত্র ব্যত্যয় হওয়ার কথা আসতে পারে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম-গণতন্ত্র বিকাশমান ও প্রসারমান। শেখ হাসিনা দেশকে অধিক উন্নতি ও অধিক গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা একের পর এক জঞ্জাল পরিষ্কার করে গণতন্ত্রের ভিত শক্ত করছেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি, তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। এর প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের সরকার। এ সরকারের অধীনে দেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সুখী-সমৃদ্ধ দেশ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে দেশের নতুন প্রজন্মকে। এ জন্যই এ প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমে উজ্জীবিত প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক জ্ঞানে শিক্ষিত হতে হবে। সরকার তাই শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের এসব কার্যকর ব্যবস্থার ফলে বর্তমানে শতকরা ৯৯ ভাগ নতুন প্রজন্মের সদস্যরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। পাসের হার বৃদ্ধি পাচ্ছ্।ে পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতেও সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এজন্য সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ক্লাস রুমে শিক্ষাদানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার ওপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ জন্য অনেক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ১২ ভাগ বর্তমানে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। তবে এ জন্য উচ্চ শিক্ষাকে কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে দেশে ৩৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মানসম্মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
– বাসস।

Tags: