শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ১৬ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে বসে খেলা দেখেন এবং জয়ের পর করতালি দিয়ে জাতীয় পতাকা নেড়ে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়,
ক্রিকেট দলের পাশাপাশি ম্যানেজার, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
“প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার পর এ বিজয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেশাদারিত্ব ও সামর্থ্যকে বিশ্বের বুকে নতুনভাবে প্রতিভাত করেছে।
“প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দৃঢ়তার সাথে সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে বতর্মান সরকার বদ্ধপরিকর।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে উড়তে থাকা বাংলাদেশের সামনে টি-টোয়েন্টিতেও দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। সাকিব আল হাসান আর সাব্বির রহমানের অর্ধশতকে এই সংস্করণের ক্রিকেটের অন্যতম সফল দলটিকে সহজেই ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতল বাংলাদেশ। আগের সাত ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল তারা। এর আগে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পথে ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটান মাশরাফিরা।
এছারাও এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় ও কোচসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।”
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানের অর্ধশতকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে এটাই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও পাকিস্তানকে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ/ এম ইউ