করোনার কারণে স্থগিত প্রথম ধাপের ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশের ৬ জেলার ২৩ উপজেলার ১৬০ ইউপিতে ভোট হয়েছে। কেন্দ্র দখল, ভোট বর্জন, বিচ্ছিন্ন সহিংসতার পাশাপাশি ৩ জন ব্যক্তি নিহত হলেও ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন হিসেবে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন।
মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য সমন্বয় করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সংস্থাটির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬০ টি ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লাখ ৯৩ হাজার ১১৭ জন। ভোট দিয়েছেন ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ জন। অর্থাৎ ভোট পড়ার হার হচ্ছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে আটটি ইউপিতে ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এতে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আটটি ইউপির মোট ভোটার ১লাখ ৬২ হাজার ৯৭৯ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৭২৫ জন।
সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে খুলনার দাকোপ উপজেলার দাকোপ ইউপিতে। এ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ৩৫০ জন। অর্থাৎ ভোট পড়ার হার ৮৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ ইউপিতে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনয় কৃষ্ণ রায়।
আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউপিতে। যেখানে ৩১ হাজার ৪০১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪০ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ ইউপিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল খায়ের।
এসব ইউপির মধ্যে ৪৪টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।