ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ নয়জনের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় সাক্ষী হাজির না করায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) শোকজ করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। তিনজন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। একজন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপর দুই সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে না পারার কারণে আদালত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কাছে, কেন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত করা হয়নি এই মর্মে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।
তিনি জানান, মামলায় আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করে ওই দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত বছর ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে এরা সবাইকে কারাগারে রয়েছেন।