লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিজয়নগর এলাকায় অটোরিকশাচালক মহিন উদ্দিন হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার রশিদপুরের মো. আবদুল্লাহর ছেলে তারেক হোসেন ও একই উপজেলার বিরাহীমপুর এলাকার মাঈনুদ্দিনের ছেলে মোহন। তবে রায় ঘোষণার সময় তারেক আদালতে উপস্থিত থাকলেও মোহন পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, অটোরিকশাচালক মহিন উদ্দিন হত্যা মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ৯ বছর পর এ মামলার রায় প্রদান করা হলো। এ রায়ে বাদী সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামির আইনজীবী আফরোজা ববি বলেন, ‘আসামিরা ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।’
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই রাতে সদর উপজেলার বিজয়নগর এলাকায় অটোরিকশাচালক মহিন উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পরের দিন ভোররাতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তার ব্যবহৃত অটোরিকশাটি পৌরসভার রেহান উদ্দিন ভূইঁয়াবাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২৮ জুলাই রাতে নিহতের বাবা সুলতান আহম্মদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তারেক হোসেন ও মোহনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানী ও ১২জনের স্বাক্ষ্য শেষে ৯ বছর পর দুই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় প্রদান করেন আদালত।
এদিকে একই আদালত মাদক মামলায় গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফের পূর্ব পাংখালী সোনাপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর সদর থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে পুলিশ।