ওয়ানডে সিরিজের দাপুটে জয়ে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আত্মবিশ্বাস পেতেই পারে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
শুক্রবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে
খেলা সাত ম্যাচেই হেরেছে তারা। কোনো ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি তারা।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে আছে পাকিস্তান আর ১০ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। ৪১ ম্যাচে মাত্র ১১টি জয় পাওয়া দলটির অবস্থান আয়ারল্যান্ডেরও পেছনে।
সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান টি-টোয়েন্টির অন্যতম সফল দল। অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি, সোহেল তানভির ও আহমেদ শেহজাদের উপস্থিতিতে ওয়ানডে দলের চেয়ে তাদের টি-টোয়েন্টি দলটি ভারসাম্যপূর্ণ।
গত বছর দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে অপরাজিত শতক করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শেহজাদ।
আফ্রিদি যে কোনো দলের সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন। এবারের সফরের টানা হারের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে তাকে আরও বেশি প্রয়োজন। তা নিজেও জানেন আফ্রিদি; তাই ভালো খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন এই অলরাউন্ডার।
তানভির টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ; বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তার। ওয়ানডে সিরিজে ভালো করতে না পারলেও উমর গুল, সাইদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজের উপর আস্থা রাখছেন আফ্রিদি।
টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ খুব একটা না মেলায় এই সংস্করণের সঙ্গে এখনও ঠিক মানিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বিপিএল বন্ধ হয়ে থাকায় এই মুহূর্তে কোনো ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও খেলা হয়নি ক্রিকেটারদের।
কম ম্যাচ খেলায় টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ তৈরি হচ্ছে না বাংলাদেশের। এই সংস্করণে ভালো করতে কয়েকজন টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ চান দলের অধিনায়ক মাশরাফি। গত এক বছরে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের জন্য অধিনায়কের চাহিদা পূরণ করা কঠিনই হবে।
সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনদের মতো তরুণরা টি-টোয়েন্টিতে পথ দেখাতে পারেন বাংলাদেশকে।
ওয়ানডে সিরিজে একপেশে জয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে একটু দুর্ভাবনাও তৈরি করেছে। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় জয় পাওয়ায় মিডলঅর্ডারে সাকিব আল হাসান, সাব্বির, নাসিররা ওয়ানডে সিরিজে খুব একটা ব্যাট করার সুযোগ পাননি। টি-টোয়েন্টিতে তাদের বিস্ফোরক ইনিংস প্রয়োজন হতে পারে স্বাগতিকদের।
ভালো সূচনার জন্য দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে শতক করা তামিম ও শেষ ম্যাচে শতক করা সৌম্য ছন্দেই আছেন।
মাহমুদউল্লাহ, ‘রান-মেশিন’ মুশফিকুর রহিমে গড়া ব্যাটিং লাইন আপে আস্থা আছে মাশরাফির। ম্যাচ জিততে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে বড় রান চান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রনি তালুকদার ও লিটন দাসের ব্যাটিংয়ের ধরন টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই। যে কোনো একজনের অপেক্ষার অবসান হতে পারে শুক্রবার।
টেস্টের জন্য পেসার রুবেল হোসেনকে বিশ্রাম দেওয়ায় একটি পরিবর্তন অনিবার্য। তার জায়গায় আরেক জন পেসার নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মাশরাফি।
তিন পেসার নিয়ে খেললে অভিষেক হতে পারে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে ব্যাটিং গভীরতা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে ফেরানো হতে পারে আবুল হাসানকেও।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ/ এম ইউ