ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের সিইও রিপন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন রিপন মিয়াকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানায় এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল জোনাল টিমের পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মালেক দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এর আগে রাজধানীর পল্টন থানায় এক ভুক্তভোগী কিউকমের মালিক মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার তাকে ডিবি মতিঝিল বিভাগ গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পণ্য আটকে রাখা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, করোনাকালে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটিয়ে কিউকম অনলাইনে তাদের ব্যবসা শুরু করে। অনেক ক্রেতা কিউকমে পণ্য অর্ডার করে তা না পাওয়ায় প্রতারিত হয়েছেন। এক ভুক্তভোগী এভাবে প্রতারিত হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। কিউকম প্রায় লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’ ‘স্বাধীনতা আওয়ার’ ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে দুই থেকে ১৫ দিন সময় দিয়ে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল অফার করত। এক লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল এক লাখ ২০ হাজার টাকায় পাওয়ার অফার পেয়ে ক্রেতারা নগদ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মোটরসাইকেল অর্ডার করতেন। কিন্তু সময় মতো কিউকম পণ্য সরবরাহ না করায় ক্রেতারা হতাশ হয়ে কিউকমে যোগাযোগ করেন। কিউকম লাভের টাকা ফেরত নেওয়ার অফার করলে ক্রেতারা লোভে পড়ে লাভের অংশ হতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমে কিউকম হতে টাকার চেক নেন।
জানা যায়, অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতো কিউকমও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করত। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের পর সম্প্রতি অফিস বন্ধ করে দেয় কিউকম। এই ই-কমার্স সাইটটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পণ্য সঠিক সময়ে ডেলিভারি না দেওয়াসহ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।