বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে ভ্যাকসিনবিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচের সব শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে তিনি আমাদের অনুমোদন দিয়েছেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের শিগগিরই টিকার আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এসব শিশুকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। আমাদের কাছে বর্তমানে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা মজুদ আছে। আরও ৪০ লাখ টিকা আমরা শিগগিরই পাব। আপাতত টিকার কোনো সংকট নেই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মধ্যে আমরা ৮ কোটি লোককে ডাবল ডোজ এবং পরের বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে আরও ৪কোটি লোককে ডাবল ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হবো। মোট ১২ কোটি লোককে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে। এতে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবরে ৩ কোটি, নভেম্বরে পৌনে ৪ কোটি, ডিসেম্বরে ৫ কোটি এবং জানুয়ারিতে পৌনে ৪ কোটিসহ আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি টিকা বাংলাদেশে আসবে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন—স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।