সংযুক্ত আরব আমিরাত তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অবশ্য অল আউট হয়নি তারা। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে তুলেছে ৮১ রান। ভারতের বিপক্ষে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোর। লড়তে পেরেছেন শুধু শাইমান আনোয়ার। করেছেন ৪৩ রান।
প্রথম ১০ ওভারের হিসেবটা নেয়া যাক। এই ১০ ওভারের ৪টি মেডেন। মোট রান এসেছে ৩২। উইকেট পড়েছে ৩টি। আরব আমিরাত আসলে ভারতের বোলিংকে খুব বেশি সমীহ নিয়ে সামলাচ্ছিল। তা তাদের সামলাতেই হবে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল ভারত। সাবেক টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন। প্রথম তিন ম্যাচ খেলেই এশিয়া কাপের ফাইনালে এমএস ধোনির দল। একমাত্র তারাই অপরাজিত। আমিরাতের সাথে এটা অসম লড়াই তো বটেই।
সেই লড়াইয়ে আমিরাত টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছে। কিন্তু ব্যাট চলে না। চতুর্থ ওভারে দলের ২ রানেই তারা হারায় ২ উইকেট। এই ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন এনেছে ভারত। বাঁ হাতি স্পিনার পবন নেগির আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে। পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও অফ স্পিনার হরভজন সিং টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তা ভুবনেশ্বর নতুন বলে নিজের প্রথম দুই ওভার মেডেন দিলেন। একটি উইকেটও নিলেন।
শাইমান আনোয়ারের ওপর ভর করে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকে আমিরাত। ওপেনার রোহান মুস্তাফা (১১) হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়েছেন। এরপর ২৬ রানের একটা জুটি হলো। এব ২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারালো আমিরাত। নেগির ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট মুহাম্মাদ উসমান (৯)। হরভজন নিয়েছেন আমিরাত অধিনায়কের উইকেট। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারালো আমিরাত। তখন চলে ১৪ ওভার।
শাইমান এক প্রান্ত আগলে টিকে ছিলেন স্রোতের প্রতিকূলে। জসপ্রিত বুমরাহকে তার মাথার ওপর দিয়ে ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটিও মারলেন। শাইমান ছাড়া দুই অঙ্কে মাত্র আর একজন যেতে পেরেছেন। শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেতে গিয়ে শাইমান রান আউট হয়েছেন। ৪৮ বলে ৪৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর। সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং। একটি করে উইকেট বুমরাহ, পান্ডিয়া, হরভজন, নেগি ও যুবরাজ সিংয়ের।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/03-03-2016/মইনুল হোসেন