মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- কিশোরগঞ্জে এক মায়ের বিরুদ্ধে তাঁর দেড় বছর বয়সী শিশু ছেলেকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের প্যারাভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মা সালমা খাতুনকে আটক করে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আটক সালমা খাতুন শিশু ছেলে মাহাথিরকে নিজ হাতে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন।
ওসি জানান, সালমার ভাষ্যমতে সকালে প্রতিদিনের মতো বসতঘরে খেলছিল ছেলে মাহাথির। তখন তিনি (সালমা) ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না। ঘুম থেকে উঠে তিনি একটি দা নিয়ে শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে রক্তাক্ত দা নিয়ে বাইরে গেলে স্বজনদের চোখে পড়ে বিষয়টি এবং সালমাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনি আকন্দপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল কালামের সঙ্গে সালমা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল। সালমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। সালমা খাতুন মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতস্থ ছিলেন বলে তাঁর বাবা ও স্বামীর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মাহাথির ছিল সবার ছোট। এক মাস আগে বাবার বাড়ির লোকজন সালমাকে চিকিৎসার জন্য প্যারাভাঙ্গা নিয়ে আসে। ছোট ছেলে মাহাথিরের জন্মের পর তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক মাস আগে শিশুটিকে পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন সালমা। এ জন্য সালমার চিকিৎসা করাতে শিশু ছেলেসহ বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন স্বামী আবুল কালাম।
ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, মাহাথিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/06-03-2016/মইনুল হোসেন