গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এক কৃষককে হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৮ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলায় ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাবেক আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হল- নজরুল ইসলম লেবু, আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব ওরফে গাওরা। তাদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলায়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় পাশের সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর আদালত ৮জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। এই মামলায় ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।