muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

মেলায় নেবার কথা বলে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা!

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে কিশোরী সাদিয়া আক্তার রাস্না (১৪) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত সাদিয়ার চাচাত বোনের জামাই হাসান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআই সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হাসান। এর আগে গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসানকে কুলিয়ারচর উপজেলার মাসকান্দা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। হাসান কুলিয়ারচর উপজেলার চর কামালপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, গত ১৭ মার্চ রাতে মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাস্নাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় হাসান। পরে পাশের রসুমিয়ার কলাবাগানে নিয়ে ওড়না দিয়ে রাস্নার হাত বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর প্রায় ২০ মিনিট রাস্নাকে আটকে রাখে। পরে আবারও ধর্ষণ করে। এ সময় রাস্না চিৎকার করতে চাইলে হাসান তার মুখ চেপে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে রাস্না অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে মৃত ভেবে রাস্নার লাশ কাঁধে করে নিয়ে পাশের পুকুর পাড়ে ফেলে রাখে।

পরদিন সকালে পুকুর পাড় থেকে রাস্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে রাস্নার পিতা লালচান কুলিয়ারচর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রাস্নার দেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। পরে মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করলে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখরুল হক খানকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাখরুল হক খান জানান, আসামি হাসান কুলিয়ারচরের পালটিয়া গ্রামে বিয়ে করে প্রায় দুই বছর শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকেন। পরে পাশের বন্দে শাশুড়ির দেওয়া জমিতে ঘর বেধে বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, গত ১৭ মার্চ বিকালে রাস্না লাউয়ের ডগা আনাতে হাসানের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় হাসানের সাথে দেখা হয়। রাস্নাকে এগিয়ে দেওয়ার সময় হাসান মেলায় যাওয়ার কথা বললে রাজী হয় সে। রাতে মিথ্যা আশ্বাসে মেলায় নেওয়ার কথা বলে রাস্নাকে বাড়ি থেকে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এর আগে হাসান মাসকান্দা বাজার থেকে সেক্সের ট্যাবলেট, কনডম ও মলম কিনে। ধর্ষণের আগে হাসান সেক্সের ট্যাবলেট সেবন করে বলেও জানান তিনি।

Tags: