muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী চলতি মাসের বেতন অষ্টম জাতীয় স্কেলে

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- এমপিওভুক্ত পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী চলতি মাসের—অর্থাৎ মার্চ মাসের বেতন অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে পেতে পারেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ জন্য প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৪০২ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। এ টাকা দিতে সম্মত হয়েছে অর্থ বিভাগ।

ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনই নতুন স্কেলে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় এবং অতিরিক্ত টাকা সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ মাসের বেতন নতুন স্কেলে পেতে পারেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) রুহী রহমান বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন স্কেলে বেতন-ভাতা দিতে আর কোনো সমস্যা নেই। এত দিন অর্থ বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ব্যাপারে ব্যস্ত ছিল। তাই বিলম্ব হয়েছে।’ তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। তাঁদের টাকাপয়সার হিসাব করা, অতিরিক্ত টাকা সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা অনেক বড় কাজ। এগুলো করতেও কিছুটা সময় লেগেছে। প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৪০২ কোটি টাকা লাগবে, যা দিতে সম্মত হয়েছে অর্থ বিভাগ।

যুগ্ম সচিব বলেন, ‘আজও আমি এ ব্যাপারে অর্থ বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহেই সব কাজ সম্পন্ন হবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত পুরো কাজই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে। আমরা কিছু বিষয়ে তাদের তাগাদাও দিয়েছি। আমরাও কাজ করছি। আশা করছি, শিগগিরই সমাধান হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু তাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। গত ২০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে আগামী ১ জুলাই থেকে তাঁদের বেতন-ভাতা কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অর্থ বিভাগের শর্ত অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও শিক্ষকদের যোগ্যতা মূল্যায়ন করতে বলা হয়। পরে সে অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।

এদিকে এখনো নতুন স্কেলে বেতন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক নেতারা। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। অষ্টম বেতন কাঠামো দ্রুত কার্যকর করা উচিত। দেরি করলে শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, শিক্ষকরা খুবই কম বেতন পান। অনেক কষ্টে তাঁদের সংসার চলে। অষ্টম বেতন স্কেল তাঁদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু বিলম্বের কারণে এখন হতাশা জন্ম নিয়েছে। অবিলম্বে নতুন পে স্কেল দেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হোক।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/06-03-2016/মইনুল হোসেন

Tags: