নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলেজছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলায় এক আসামিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ মামলায় দুই নারীসহ আরও ৯ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ তিনজন পলাতক রয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৮), তার ছোটভাই যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আলমগীর (৩৫) ও বাসিত (২৮) পলাতক রয়েছে। তারা মুছারচর এলাকার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।
আদালতে উপস্থিত ছিল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসাদ, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতাজ বেগম, কল্পনা বেগম, কামাল ও নজরুল ইসলাম।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর রাতে সোনারগাঁওয়ের মুছারচর এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শহীদুল্লাহর বাড়িতে টেঁটা ও ধারালো ছুরিসহ হামলা চালানো হয়। এ সময় শহীদুল্লাহর কলেজপড়ুয়া ছেলে মফিজুল ইসলামকে টেঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়; একই সময় বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় আসামিরা। এতে আরও কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় শহীদুল্লাহর বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেছেন।
মামলার বাদী আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওপরের আদালতে রায় বহালেন দাবি জানিয়েছেন।