muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

দেশে এয়ারগান ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এয়ারগান বহন বা ব্যবহার। দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৪৯ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই নির্দেশনা ১৪ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দীপক কুমার চক্রবর্তীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ৪৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ করা হলো।’

এক্ষেত্রে শর্ত পরিপালনের বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের শর্ত অনুযায়ী, ‘জাতীয় শুটিং ফেডারেশনের নিবন্ধিত শুটিং ক্লাব ও বনাঞ্চল সন্নিহিত এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, তাদের নিরাপত্তা, দৈনন্দিন প্রয়োজন ও সামাজিক প্রথার কারণে নিষেধাজ্ঞা আওতার বহির্ভূত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২’-এর আওতায় বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এয়ারগান বহন বা কেনার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম না থাকায় অনেকেই এই অস্ত্র কিনছে। এ ছাড়া এ অস্ত্র ব্যবসার ওপর কোনো নজরদারি নেই।

জানা যায়, হালকা ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বায়ুনির্ভর অস্ত্রের নাম ‘এয়ারগান’। এই বন্দুকটি কিনতে কোনো লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না বলে যে কেউ এটি কিনে পাখি শিকার করতে পারেন। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার চা বাগান ও পাহাড়ে এয়ারগান তুলনামূলক বেশি ব্যবহার করা হয়।

Tags: