muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

বড়দিনে গির্জায় নিরাপত্তা জোরদার

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আগামীকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর)। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও সারা দেশের গির্জায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর গির্জাগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীজুড়েও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সারা দেশে প্রায় কয়েক শতাধিক গীর্জা রয়েছে। এসব গীর্জায় বড়দিন উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। আগামীকাল দেশের খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা দিনটি উদ্‌যাপন করবে।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এ বছর শুধুমাত্র খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গির্জায় প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, এবার নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনুযায়ী গির্জাগুলোয় থাকবে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ। ইভটিজিং প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারিতে নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,রাজধানীজুড়েও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গির্জাগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। আশা করি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে ধর্মীয় বড়দিনটি পার করতে পারবেন।

নিরাপত্তার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পুলিশ যথাযথ নিরাপত্তা জোরদার করছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কাবোধ করছি না। আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও নির্বিঘ্নে বড়দিন উদযাপন করা সম্ভব হবে।

এদিকে সারাবিশ্বে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বড়দিন উদযাপনে সতর্ক করে দিয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করাই যৌক্তিক হবে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতি বছর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘শুভ বড়দিন’ ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়। অতিমারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করে পালিত হয়েছে।’

এ পরিস্থিতিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের আয়োজন সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ‘কঠোর নজরদারি’ অব্যাহত রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এই দিনে (২৫ডিসেম্বর) বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন বলেই তাঁর অনুসারী-খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

Tags: