কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকা ও আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে প্রশাসন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জালালপুর ইউনিয়নের ৬৮ নম্বর উত্তর চরপুক্ষিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ ও ৭ নং বুথে ভোট ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে যথা নিয়মে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান রুস্তম কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এলে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে বুথে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন এবং প্রকাশ্যে সিল মারতে থাকেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমর্থকেরা প্রতিরোধ করতে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এরপর কয়েক দফায় চলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ব্যালট বাক্স ও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ শুরু হলে ভোটাররা কেন্দ্র থেকে চলে যান। খবর পেয়ে কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফসা নাদিয়া এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
৬৮ নম্বর কেন্দ্রের উত্তর চরপুক্ষিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মাসুদুল হক জানান, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা জোড়পূর্বক ভাবে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফসা নাদিয়া বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়া ভৈরবে নৌকা মার্কায় প্রকাশ্যে সিল মারাকে কেন্দ্র করে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আতকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাছাড়া হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রামপুর হোসাইনিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসাকেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ৬ কিশোরকে আটক করা হয়।
চতুর্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর, কটিয়াদী ও ভৈরবে ২২টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ২২টি ইউনিয়নে মোট ১০৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১১৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।