বাংলার ইতিহাসে বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম প্রতাপশালী জমিদার বীর ঈশা খাঁর স্মৃতি বিজড়িত জঙ্গলবাড়ি দুর্গ পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরঙ্গল ইউনিয়নে অবস্থিত দুর্গটি পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জঙ্গলবাড়ির বিভিন্ন পুরাকীর্তি ও জাদুঘর নির্মাণের অধিগ্রহণকৃত ভূমি ঘুরে দেখেন।
এরপর কিশোরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। এর আগে কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নে অবস্থিত প্রয়াত অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ঐতিহাসিক বড়ইতলা বধ্যভূমিও পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।
সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এই ভূখণ্ড কোনোকালে বাঙালি শাসন করতে পারেনি। দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা ও পরাধীনতার ইতিহাসে মাঝেমধ্যে তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী-বিপ্লবীদের মাধ্যমে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বাঁধলেও তারা কেউ চূড়ান্ত বিজয় তথা স্বাধীনতা এনে দিতে পারেননি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতির হাজার বছরের পরাধীনতার অবসান ঘটেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র জাতির পিতার নেতৃত্বে ও তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। কোনও মেজরের আহ্বানে এদেশ স্বাধীন হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর আজকের এই সমাবেশের স্থানে (বড়ইতলা) পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক ৩৬০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। যা পাকবাহিনীর নৃশংসতার স্বাক্ষর বহন করে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী শুধু ধর্ম দেখে মানুষ হত্যা করেনি। তারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করেছিল। এদেশের স্বাধীনতার জন্য সব ধর্মের মানুষ আত্মত্যাগ করেছে।
কিশোরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।